ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নয় , হচ্ছে মিউকরমাইকোসিস! জেনে নিন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন


কলকাতা:  করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হয়ে দাঁড়িয়েছে নতুন দুশ্চিন্তার বিষয়, যদিও বিশেষজ্ঞ দের মতে জানা গিয়েছে এটি আসলে মিউকরমাইকোসিস নামক একটি ছত্রাক ঘটিত রোগ, যা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে মিউকরমাইকোসিস হইয়া থাকে মিউকর ছত্রাক দ্বারা যা সাধারণত একটি বিরল সংক্রমণ, সাধারণত এই ছত্রাক গাছপালা বা মাটি তে পাওয়া যায় তবে পরিবেশের যে কোনো জায়গাতেই থাকতে পারে, তবে করোনা রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তলানিতে গিয়ে পৌঁছায় , তাই এই রোগ সংক্রমণের হার বারছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও দীর্ঘ দিন হসপিটালের আইসিইউ তে কাটানো রোগীদেরও এই রোগ সংক্রমণ হচ্ছে । এছাড়াও যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের শরীরের এই জাতীয় সংক্রমণের দেখা মিলছে।


এই দুই রোগেই প্রাথমিক ভাবে চোখের ক্ষতি হয়ে থাকে, তবে মিউকরমাইকোসিস এর আরো কিছু লক্ষণ হলো , নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে কালো অথবা বাদামি রঙের জল পড়া, মুখের একপাশে ব্যথা, এছাড়াও দৃষ্টি শক্তির সঙ্গে মস্তিষ্কের ও ক্ষতি করে

এ ক্ষেত্রে করোনা রোগীদের অক্সিজেন স্যাচুরেশন এর দিকে নজর রাখার সাথে সাথে ডায়াবিটিস ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে তা না হলে ফল হতে পারে মারাত্মক।

করোনা সংক্রমণ রুখতে রোগীর শরীরে মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েডের ব্যবহার করতেই দেখা যাচ্ছে। দিনের পর দিন মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েডের ব্যবহার করা আর এই স্টেরয়েডের অপব্যবহার করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মিউকরমাইকোসিসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেওয়ারও কারণ হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের সাথে মিউকরমাইকোসিসের যোগ নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা , নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে কালো অথবা বাদামি রঙের জল পড়া-সহ প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখা গেলেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে, প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু হলে সে ক্ষেত্রে সহজেই যে কোনও ধরনের বিপর্যয় আটকানো যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Post a Comment